চাকরির দিশা

চাকরির পাওয়ার সঠিক দিশা

Breaking

নীচে ক্লিক করে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন...

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

Bangla Motivational Speech Text 2020

Bangla Motivational Speech Text 

জীবনে  লক্ষ্যের প্রয়োজনীয়তা


জীবনে একটি লক্ষ্যের প্রয়োজন হয় । লক্ষ্য ছাড়া জীবন যেন একটা জাহাজের মত ,যার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থান নেই ,যেটি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে । তাই প্রথমে একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে । এরপর কাজ শুরু করতে হবে । 


জীবন যাপন এইভাবে করো না যে তোমার লক্ষ্য পাল্টে যায়। লক্ষ্য এমন ঠিক করো যাতে তোমার জীবন পাল্টে যায়। সব সময় পজিটিভ thoughts নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে। আমাদের চিন্তাধারা যদি সঠিক দিশাই  চলে তাহলে আমরা সেই কাজে সফল হতে বাধ্য । কিন্তু আমাদের চিন্তা ধারা যদি লক্ষ্যহীন হয়ে পড়ে , তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো -অসম্ভব ।  


যেমন একটি রোদ্দুর দিনে একটি শক্তিশালী আতস কাঁচ দিয়ে একটি কাগজ পড়ানোর চেষ্টা করা হল । যদি আতশকাচটিকে সবসময় নাড়ানো হয়। তাহলে কিন্তু কাগজটিকে পড়ানো যাবে না। কিন্তু আতশকাচটিকে যদি এক জায়গায় স্থির করে রাখা হয় ,তাহলে কাগজটি এক সময় জ্বলে উঠবে। সেরকম তোমার  লক্ষ্য স্থির থাকলে, লক্ষ্য পূরণে তুমি সফল হবেই ।


যখন আমাদের 100 কিলোমিটার দূরের কোন জায়গায় যাত্রা করার থাকে  , তার কর্মসূচি আগে থেকে নির্ধারণ করে  থাকি। কখন বাড়ি  থেকে বার হতে হবে , কখন বাসস্টপে বা স্টেশনে পৌছাবো  ,কখন কোন বাসে বা ট্রেনে চাপবো -ইত্যাদি  বিষয়গুলো আগে থেকেই ঠিক করি । কিন্তু যখন  আমাদের এই বিশাল জীবনের যে যাত্রাপথ অতিক্রম  করতে যায় তখন আমাদের কি লক্ষ্য থাকা জরুরি নয় ? 


লক্ষ্য সবসময় একটু উঁচু রাখতে হবে ।কারণ লক্ষ্য যেমন তুমি রাখবে সেরকমই পরিশ্রম করবে  এবং যেমন পরিশ্রম করবে সে রকমই ফল পাবে ।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোঝা যাবে ।একজন যখন Long jump-এ দশ ফুট লাফাতে চাই। তখন সে  হয়তো সামান্য দৌড়ে মাঝারী গতিতে সেই 10 ফুট ঝাঁপ দিতে পারবে। কিন্তু যদি তার লক্ষ্য 15 ফুট ঝাঁপ দেওয়া হয়। তাহলেও সে আরো দূর থেকে  দ্রুতগতিতে  দৌড়াবে।  তাই লক্ষ্য স্থির করতে হবে আগে- আর এই লক্ষ্য একটু উঁচুই  রাখতে হবে। তেমনি চাকরি ক্ষেত্রেও তুমি যদি ছোটখাটো চাকরির পাওয়ার  লক্ষ্য রাখ, তাহলে তুমি সেই ভাবে খাটবে। এতে তুমি হয়তো একটি ছোট চাকরী পেতে পারো আবার নাও পেতে পারো। কারণ ছোট চাকরি পাওয়ার জন্য তুমি পরিশ্রম কম করবে। কিন্তু  তোমার লক্ষ্য বড় চাকরি পাওয়া থাকে - তাহলে তুমি পরিশ্রম বেশি করবে । আর এতে,  তুমি অবশ্য একটি ছোট হলেও চাকরি পাবে। এমন কি তুমি বড় চাকরি পেতে পারো। অবশ্যই নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। 


তাহলে মানুষ কেন লক্ষ্যস্থির করে না। কিছু মানুষ রয়েছে নিরাশাবাদী । কিছু মানুষের রয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব ,আবার কারো রয়েছে ব্যর্থতার ভয়। 


একটি ছাত্র ঠিক করল দিনে 1 ঘন্টা পড়বে ।এরপর পরের দিন সে ঠিক করল দু'ঘণ্টা পড়বে। এরপর তৃতীয় দিন সে ঠিক করল তিন ঘন্টা পড়বে। এইভাবে ধীরে ধীরে সে দিনে 8 ঘন্টা পড়াশোনা করতে  সক্ষম হয়ে উঠবে। তাই লক্ষ্য ছোট ছোট স্থির করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। 

      দিনে তুমি হাজারটা লক্ষ্য স্থির না করে কয়েকটি লক্ষ্য স্থির করো এবং সেগুলি পূরণ করো। যদি তুমি তাতে সফল হও ,তাহলে তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে । তুমি পরবর্তী লক্ষ্য পূরণে একধাপ এগিয়ে যাবে।



জীবনের লক্ষ্যগুলির  ও একটি লিখিত তালিকা থাকা জরুরী । লক্ষ্যটি যেন তোমার বোঝা না হয় - লক্ষ্যটি পূরণে তুমি যেন প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হও । একটির পর একটি ছোট ছোট লক্ষ্য পার করে তুমি একটি বড় লক্ষ্য কে অতিক্রম করতে পারবে । আর এই ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণে সামর্থ্য হলে, তুমি তার আনন্দ উপভোগ করো ।


তোমার যাই  লক্ষ্য থাকুক ,সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর তোমার কী পরিবর্তন হবে , তা নিয়ে ভাবো । দেখবে তুমি কাজ করতে উৎসাহ পাবে ।যেমন , তোমার  লক্ষ্য 
যদি  একটি চাকরি পাওয়া হয়ে থাকে ,তাহলে তুমি ভাববে চাকরির টাকা দিয়ে তুমি কী কী করবে,তোমার লাইফ স্টাইল কী রকম হবে , ইত্যাদি । আর এই ভাবনায় তোমার কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে ।


লক্ষ্য স্থির করার ক্ষেত্রে  নিজের ক্ষমতা, স্বাস্থ্য, সময় , বাস্তবতা ইত্যাদি  বিষয়গুলির উপর খেয়াল  রাখতে হবে ।


 তাহলেআর দেরি না করে  আজ থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করো এবং কাজ শুরু করে দাও , দেখবে তুমি  জীবনে কতটা  এগিয়ে গেছো। 


Click The Video


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন